গার্মেন্টস খাতে সোয়া তিন লাখ শ্রমিক বেতন পাননি



পোশাক তৈরি শিল্পের 609 টি কারখানার প্রায় সোয়া তিন লাখ শ্রমিক এখনো মার্চ মাসের বেতন পাননি বলে জানিয়েছে গার্মেন্টস খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটি গতকাল এক তথ্যে বলেছে, বিজিএমইএ সদস্য 2274 টি কারখানার মধ্যে এক হাজার 665টি কারখানায় 21 লাখ 59 হাজার 417 শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করেছেন গার্মেন্টস মালিকরা। ফলে ৮৭% শ্রমিক বেতন পেয়েছেন। বাকি 13 শতংশ বা তিন লাখ তের হাজার তিনশত সতেরো 313317 জন পোশাক শ্রমিকের বেতন আগামী 20 থেকে 25 এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করার নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এ পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকদের মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বিজিএমইএ সব গার্মেন্ট কারখানা লে-অফ ঘোষণাঃ
গতকাল শ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানীর শ্রমভবনের সামনে। বিজিএমইএ সব গার্মেন্ট কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়, অনেক কারখানায় এখনো গত মাসের মজুরি পরিশোধ না করা এবং গত চার সপ্তাহে কমপক্ষে 30 হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার সেই বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, কারখানা লে-অফ ঘোষণা এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করার মধ্য দিয়ে নৈরাজ্যমুলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন মালিকরা।
তারা সরকারের কাছ থেকে বড় বেল-আউট আদায়ের দরকষাকষির কৌশল হিসেবে শ্রমিকদের জিম্মিদশায় ফেলেছে বলে দাবি করছেন। এ মহামারীর সময়ে শ্রমিকদের মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দিয়ে মুনাফা কামানোর চেষ্টাও করছেন বলে জানিয়েছেন।
আইন এবং সরকারের নির্দেশ অমান্যকারী মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি:
অন্যদিকে বেতন পরিশোধ না করে আইন এবং সরকারের নির্দেশ অমান্যকারী মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল হক আমিন গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, যে সকল মালিক তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সরকারের নির্দেশ মেনে যারা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়েছেন, তাদের অনেকে আবার মার্চের বেতন থেকে পাঁচ দিনের বেতন কেটে রেখেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্যায়।
শ্রমিকরা বেতন ছাড়া এই করোনায় তারা কিভাবে তাদের সংসার পরিচালনা করবে তা ভাবার বিষয়। তাই যথা সম্ভব শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী আদায়ে মালিকপক্ষকে সদয় হতে হবে।